যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ মিশন শেষে শুক্রবার দেশে ফিরছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এক আসরে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচ জয়ের নজির এবারই গড়লো টাইগাররা। কিন্তু টুর্নামেন্টে বাজে পারফরমেন্সের কারনে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যায় টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং নেপালকে হারিয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের সবগুলোই মন্থর উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। যা অনেকটাই ঘরের উইকেটের মতো। ঐ ম্যাচগুলোতে বোলাররা সফল হলেও ব্যাটারদের পারফরমেন্স ছিলো খুবই হতাশাজনক।
তবে অ্যান্টিগায় ভাল উইকেট পেলেও, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপরও টুর্নামেন্টের কিছু সমীকরণে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিলো তাদের। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুন বোলিং নৈপুন্যে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। সেমিফাইনালে যেতে হেলে ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান করতে হতো টাইগারদের।
কিন্তু সেই টার্গেট স্পর্শ করার জন্য দ্রুত রান তোলার কোন মনমানসিকতাই দেখা যায়নি বাংলাদেশ দলের মধ্যে। সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণের পেছনে না ছুটে ধীরলয়ে ম্যাচ জয়ের পথ বেছে নেয় তারা। তারপরও বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে যায় তারা। আক্রমনাত্মক ক্রিকেট না খেলার কারনে শুধুমাত্র দেশেই নয়, সারা ক্রিকেট বিশ্ব থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশদল।