রাজস্ব ফাঁকিতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় যশোরের বেনাপোল বন্দরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে কাস্টমস হাউস।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টন পণ্য। ২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ টন পণ্য।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, রাজস্ব আয় বাড়াতে কমিশনার আবদুল হাকিম ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেন। বিশেষ করে রাজস্ব ফাঁকিতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকটের কারণ গত কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে আমদানি কমে গিয়ে বছরের শুরুতেই রাজস্ব ঘাটতি দেখা দেয়। অর্থবছরের শেষ দিকে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সি. সহ-সভাপতি খাইরুজ্জামান বলেন, গত অর্থবছরে সরকারের বড়-বড় মেগা প্রকল্পের পণ্য আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ফলে বেড়ে যায় কাস্টমসের রাজস্ব আদায়।