জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেড়েছে। জেলায় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২৭ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ৯৭৪ জন। জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের চেয়ে মহিলা চার লাখের বেশি। জেলায় মোট পুরুষ ২৯ লাখ ৩৭১ জন, মহিলা ৩৩ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২৫৬ জন। জেলার জনশুমারি ও গৃহগণনার রিপোর্টটি তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান। বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা এটি।এতে কুমিল্লার জনসংখ্য৬২ লাখ ছাড়িয়েছে।
এ বিষযে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে বিভিন্ন সময়ে আইনের পরিবর্তিত নতুন বিধিমালা জারি করেন। যা ২০১৩ সালে আদমশুমারি নাম বাদ দিয়ে জনশুমারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনসেবা প্রদানের মধ্যে সঠিক তথ্য নির্ভর করার লক্ষ্যে সঠিকভাবে শুমারির প্রয়োজন। দেশের ও সমাজের উন্নয়ন অগ্রগতির লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক সার্বিক শুমারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাদের জনকল্যাণে ২০২২ সালের জনশুমারির রিপোর্ট অনুসরণ করে সেবা দানের কার্যক্রম গহণের আহ্বান জানান তিনি।
জনশুমারির রিপোর্ট বলা হয়েছে, সাক্ষরতার হার জাতীয় সাক্ষরতার হারের চেয়ে বেশি। জেলা সাক্ষরতার হার ৭৬.৬৮ এবং জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.৮০। জেলায় মোট ৮৮.৮৫% খানার নিজস্ব বাসগৃহে বসবাস করে। ৯% খানা ভাড়া বাসায় বসবাস করে যাদের অন্যত্র নিজস্ব বাসগৃহ আছে এবং ১.৩৬ শতাংশ খানা ভাড়া বাসায় বসবাস করে যাদের কোন নিজস্ব বাসগৃহ নেই এবং ০.৩৩ পার্সেন্ট লোক বিনা ভাড়ায় বসবাস করে যাদের অন্যত্র নিজস্ব বাসগৃহ আছে। প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক জেলায় পাঁচ বছর ও তদুর্ধ বয়সীদের মধ্যে ৫৮.৫৮ শতাংশ মানুষের নিজস্ব ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে এবং ৪০.২৬ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জেলার জনশুমারি ও বসবাসকারী ১২ লাখ ৬৯ হাজার ২৮০ জন এবং পল্লী এলাকায় বসবাসকারী ৪৯ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৬ জন। এছাড়া জেলায় ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার হার মুসলমান ৯৫.৫৬, হিন্দু ৪.৩৩, বৌদ্ধ ০.০৯, খ্রিস্টান ০.০১ এবং অন্যান্য ধর্মের হার ০.০০৩।