রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো কৃষি। গ্রামীণ উন্নয়ন এবং আধুনিক কৃষি টেকসই উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য উপাদান। তাই টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
আগামীকাল ৭ জুলাই ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা ২০২১’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা ২০২১’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষিখাত লাভজনক এবং উৎপাদনশীলতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষি বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে দেশ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এছাড়া, বিস্তৃত সেচ, ফসলের উচ্চ-ফলনশীল জাত উদ্ভাবন, দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা ও যান্ত্রিকীকরণ, নীতি সংস্কার ও কৃষি গবেষণা, কৃষিকে রপ্তানিমুখীকরণ, মানব পুঁজি বিনিয়োগ ইত্যাদি কার্যক্রম কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করেছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালীন কৃষিখাতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, নির্বিঘœ সার সরবরাহ ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় স্বল্পমূল্যে সার ক্রয়ের সুযোগ, সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন কৃষকবান্ধব নীতির কারণে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের পাট রপ্তানিতে প্রথম, পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান উৎপাদনে টানা চারবার তৃতীয়, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে। কৃষির এই সাফল্যের প্রকৃত দাবিদার কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতি বছর কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প; কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি; স্বীকৃতি বা সরকার কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত কৃষি ফসল/মৎস্য/প্রাণিসম্পদ/বনজসম্পদ উপখাতভুক্ত সংগঠন; বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন- এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদান করছে- যা প্রশংসার দাবিদার।’ গুণী ব্যক্তিদের এই সম্মাননা প্রদান কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো উৎসাহ যোগানের পাশাপাশি দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা ২০২১’ প্রাপ্ত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।