জেলায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে আজও যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার বিকাল ৩টায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
অন্যদিকে, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার ৩৮ টি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, বগুড়ায় যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পূর্বদিকের ১৮ টি ইউনিয়ন জলমগ্ন হয়েছে এবং ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। তবে এখন উজান থেকে আসা ঢলের পানির গতি কমে যাওয়ায় বিপদসীমা স্থিতিশীল রয়েছে। শনিবার সকাল ৬ টায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রাবাহিত হলেও বিকাল ৩ টায় ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী জানিয়েছেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার ৩৮ টি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। সারিয়াবান্দি ও সোনাতলায় ৭ টি উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ করা করেছে।এর মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদর, টেংরাকুরা, জামথৈলসহ পাঁচটি ও সোনাতলার দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় ষান্মাসিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় চলাচলের রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় ও বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় ৩১ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমির আউশ, ভুট্টা, পাট ও সবজির ক্ষতি হয়েছে।
জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, বন্যা দুর্গতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫০ মেট্রিকটন চাল, শুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও, ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দুর্গতদের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, লবন-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির প্যাকেট তৈরী করে বিতরণ করা হবে।
এদিকে, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান আজ বন্যা উপদ্রু এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের মধ্যে ত্রান বিতরন করেছেন।