খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে ।
তিনি বলেন, এ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শুধুমাত্র একদিন উদযাপন করলে হবে না। এর চর্চা বাড়াতে হবে একই সঙ্গে মননে ধারণ করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সন্মাননা ২০২৩ ও শিল্পকলা প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পীর কন্ঠ অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী। মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তারা গানের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। কবিরাও সেসময়ে কবিতার মাধ্যমে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে না পারলে তারা অন্য সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হবে। তাই দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে আরো কর্মসূচি নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. গোলাম মওলা’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং জেলা কালচারাল অফিসার মো. তাইফুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সন্মাননা ২০২৩ প্রাপ্তরা হচ্ছে- সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ত্রিশূল’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার, কণ্ঠসংগীতে সম্পা দাস, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক মোস্তফা আল মেহমুদ রাসেল, যন্ত্রশিল্পী পরেশ কুমার মন্ডল এবং চারুকলায় তাহমিদুর রহমান মনন। পরে খাদ্যমন্ত্রী সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।