গোপালগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় রোপা আমন ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
জেলার ৫ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার কৃষক ও কৃষাণীর হাতে এসব বীজ সার তুলে দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় ৫ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের ২৫ হাজার কেজি বীজ। কৃষক প্রতি ১০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ২শ’ কৃষক ৬ হাজার কেজি ধান বীজ, ১২ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১২ হাজার কেজি এমওপি সার পেয়েছেন। মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার কৃষকের মধ্যে বরাদ্দের ৫ হাজার কেজি ধান বীজ, ১০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১০ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১ হাজার কৃষক পেয়েছে ৫ হাজার কেজি ধান বীজ, ১০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১০ হাজার কেজি এমওপি সার । কোটালীপাড়া উপজেলায় ১ হাজার কৃষকের মধ্যে ৫ হাজার কেজি ধান বীজ, ১০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১০ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ শ’ কৃষক পেয়েছে ৪ হাজার কেজি ধান বীজ, ৮ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৮ হাজার কেজি এমওপি সার । ওই কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় রোপা আমন ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গত ২৫ জুন আমরা রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূিচর আওতায় রোপা আমন ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ শুরু করি। গত মাসেই এটি বিতরণ সম্পন্ন করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির এসব বীজ ও সার দিয়ে কৃষক আমনের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এতে জেলায় আমনের আবাদও বৃদ্ধি পাবে ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামর কৃষক একরাম হোসেন চৌধূরী বলেন, প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির বীজ-সার পেয়েছি। বীজ দিয়ে ইতিমেধ্য বীজতলা তৈরি করেছি। আগামী ২৫/২৬ দিনের মধ্যে এ চারা দিয়ে ক্ষেতে রোপা আমনের চাষাবাদ করব। সরকারের এ সহায়তায় অন্তত ১ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করে রেমালের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব। সেভাবেই কাজ করছি।