জেলার রথ যাত্রার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বগুড়া জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট পি এস ইমরুল কায়েসকে আহ্বাযক করে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, নেসকো, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
এদিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা: আব্দুল ওয়াদুদ জানান, দুর্ঘটনা আহতদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা ২ জনকে ঢাকায় পাঠোনো হয়ছে। শজিমেক হাসপাতালে এখনও ৩৮ জন চিকিৎসাধী আছে। ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতলে ৫ জন ভর্তি ছিল । তার মধ্যে একজন মারা গেছে। অন্যরা অন্যত্র চিকিৎসা নিতে চলে গেছে। এ নিয়ে মোট আহত রোগীর সংখ্যা ৪২ জন।
রোববার বিকেল ৫ টায় শহরের সেউজগাড়ীর ইসকন মন্দির থেকে শ্রী ¤্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার উদ্বোধন করেন রাগেবুল আহসান এমটি, জেলা প্রশাসক শেঅ: সাইফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। ইসকন মন্দির থেকে রথ টেনে নিয়ে কলেজ রোডে ওঠার পর পরই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নেসকো -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মোন্নাফ জানান, সেখানে ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছিল। নেসকো বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের উচ্চতা ১২ মিটার। এর উপরে কোন ধাতব পদার্থের সাখে সংস্পর্স লাগলে দুর্ঘটনা ঘটবে। তিনি জানান, রথের উচ্চাতা ১২ মিটারের। আর রথের উপরিভাগে লোহার কোন দন্ড ছিল। এ ধাতব পদার্থে সংস্পর্শে এসে গোটা রথ বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এই সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।