সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও ডয়েচে গেসেলশ্যাফ্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল জুসামেনারবিট (জিআইজেড) বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্টিনা বুরকার্ড এই দুটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ দুটি প্রকল্পই জীববৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার উপর জোর দিয়ে লাইফ বিলো ওয়াটার এসডিজি ১৪ ও লাইফ অন ল্যান্ড এসডিজি ১৫-এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে এসডিজিতে অবদান রাখবে। এই উদ্যোগগুলি এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও জার্মানির অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দরবন ও সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের সংরক্ষণ নিশ্চিত করে, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাগুলি উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুন্দরবন ও সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) সোয়াচ নো গ্রাউন্ডের টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরকালে পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস ও মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড ইন বাংলাদেশ প্রকল্প পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে।
ফারহিনা আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অর্থায়ন জোরদার এবং বাংলাদেশ ও ভারতের বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা (সুন্দর-বে) প্রকল্পটি মার্চ ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৭ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সুন্দরবন সংরক্ষণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রচেষ্টার উদ্যোগ নেয়া হবে।
পরিবেশ সচিব বলেন, সুন্দর-বে প্রকল্পের লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি সমন্বয় উন্নত করা, সুন্দরবন সংরক্ষণে সহায়তা করা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী- বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য ইকোসিস্টেম পরিষেবা সরবরাহ করা। প্রকল্পটি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রচার করবে এবং টেকসই আয়-উৎপাদনমূলক কার্যক্রম ও পরিবেশগত শিক্ষার মাধ্যমে স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা করবে।