কুষ্ঠরোগীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয় শরীরের যেকোন অংশে ভেসে উঠা সাদা দাগের মাধ্যমে। অনেকে শরীরের সাদা দাগকে অবহেলা করেন, এটি করা ঠিক না। এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রাথমিকভাবেই চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জেলায় কুষ্ঠরোগ নির্মুলে জনসচেতনতামূলক এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান- কুষ্ঠরোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শের কুষ্ঠরোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়।
বেসরকারী সংস্থার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে কুষ্ঠরোগ নির্মুলে জনসচেতনতামূলক সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়।
দি লেপ্রসি ইন্টারন্যাশনাল’র উদ্যোগে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়তায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কুষ্ঠরোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন- দি লেপ্রসি ইন্টারন্যাশনারের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি এন্থনী কুইয়া।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়-সরকারিভাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতালে কুষ্ঠরোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
এন্থনী কুইয়া জানান কুমিল্লা জেলায় গত ২০১৭ হতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৮ বছরে ৩৭ জন শনাক্তকৃত কুষ্ঠুরোগীর মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে ৩০২ জন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা সহকারী স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন, কুষ্ঠরোগ নিয়ন্ত্রণে প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. কামরুজ্জামান, সূর্যের হাঁসি ক্লিনিকের ম্যানেজার মো. একরামুল হক এবং কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ পারভেজসহ সাংবাদিকবৃন্দ।