রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী মো. রাজুকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার র্যাব-১ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় তার কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ৩০টি ভিওআইপি সীম বক্স, ৫ হাজার ৫০টি সীম, ২টি পাওয়ার ক্যাবল, ১টি রাউটার, ১ টি মাউস, ৬টি পেনড্রাইভ, ৬টি মোবাইল ফোন, ৫টি ল্যাপটপ, ৫টি ইন্টার সুইচ বক্স, ১টি কী বোর্ড এবং ১টি ফেক্সিলোড সিম বক্সসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে সে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। সফটওয়ার ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করত এবং ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে দেশের অভ্যন্তরে সার্ভার স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশেও কলিং কার্ড, পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করতো।
র্যাব জানায়, সফটওয়্যার ভিত্তিক সিস্টেমে বিদেশ থেকে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মিনিট কল বাংলাদেশে আসতো যার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আসামী প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতো। গ্রেফতারকৃত আসামী দেশের বাহির থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতো।
রাজু অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ।
এছাড়াও সে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পেমেন্টে (ইন্টারনেট ও সিম) ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং’র মাধ্যমে প্রদান করতো।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত রাজু ২০১০ সালে দুবাই থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। পরবর্তীতে সে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় মো. সবুজ নামে এক ব্যক্তির সহায়তায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা শুরু করে।