ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলছেন, কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার সার, বীজ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রদান করছে। এর মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অফিসার্স ক্লাব হলরুমে আজ জিলবাংলা চিনিকল আখচাষী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, কৃষিই আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কৃষির অবদান অপরিসীম। কৃষকেরাই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বহুবিধ কারণে আখচাষ ধারাবাহিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি চিনিকল বন্ধ হয়ে চিনি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। চিনির বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মন্ত্রী আখচাষীদের পূর্বের ন্যায় আখচাষ করে চিনি শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার অনুরোধ জানান।
সভায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জিলবাংলা চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, আখচাষী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মান্নান মোল্লা, শফিকুর রহমান শিবলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আখচাষী কল্যাণ সমিতির মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।