জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত অর্থবছরে ২২ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় জিরা আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত জিরা থেকে সরকার ৪৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। এই বন্দর দিয়ে অন্যান্য মসলার আমদানিও বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার বলেন, আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করেছিল ২৪ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন। আমদানিকৃত জিরা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছিল ২৫৪ কোটি টাকা।
তবে গত (২০২৩-২৪) অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে প্রায় একই পরিমাণ (২২ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন) জিরা ও অন্যান্য মসলা আমদানি হয়েছে। এসব আমদানিকৃত জিরা ও অন্যসব মসলা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। অন্যান্য পণ্যের চেয়ে এই বন্দর দিয়ে জিরা ও মসলা বেশি আমদানি হয়।’
তিনি বলেন, মসলা জাতীয় পণ্য হিসেবে জিরার চাহিদা সব সময় রয়েছে। এর পাশাপাশি অন্য মসলার চাহিদাও কম নয়। এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকেরা সব ধরণের মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি করে। চলতি জুলাই মাসের সর্বশেষ ১০ দিনে ১১ টি ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থল বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের আমদানি খুব কম হচ্ছে। তবে জিরাসহ অন্যান্য মসলার চাহিদা থাকায় আমদানি কারকেরা এই পণ্যটি আমদানি করছেন। এখান থেকে আমদানি করা মসলা দেশের প্রত্যেক জেলায় সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা।