জেলায় আমনের আবাদ বাড়াতে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০২৪-২০২৫ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় ২৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে রোপা আমন আবাদি চাষীরা পাটের সাথে বোনা আমন আবাদ করেছেন। রোপা আমন চাষীরাও বীজতলা তৈরি ও জমি প্রস্তুত করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ খরিপ-১, মৌসুমে ১৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও ৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। শরীয়তপুুরের চাষীরা যে সকল জাতের আমন আবাদ করে থাকেন তার মধ্যে রোপা আমনের ব্রি ধান-৩৯, ৫২, ৭২, ৭৫,৮৭. ও বিনা ধান-৭, ২২ সহ উফশী ৩০ জাত রয়েছে। বোনা আমনের মধ্যে লক্ষীদিঘা, ঝিঙ্গাশাইল, লেহা গরচা ও সামনাসহ ২০টি প্রজাতি স্থানীয় জাতের ধান।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বাসস’কে বলেন, জেলায় আমন উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে আমরা জমির শ্রেণীবিন্যাস করে সবচেয়ে লাগসই জাত আবাদে কৃষককে প্রণোদনা, কারিগরি সহায়তা ও মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি।
ফলে ইতিমধ্যে পাট আবাদি ১৫-২০ শতাংশ উপযুক্ত জমিতে কম খরচে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে উচ্চফলনশীল জাতের ছিটানো আমন আবাদ করা হচ্ছে। এ বছর আষাঢ় মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা ও বোনা আমন থেকে কৃষকরা বেশ ভালো ফলন পাবেন আশা করছি । উৎপাদন ব্যয় কমে কৃষি যাতে আরও বেশি লাভজনক হয় সেই লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের হাত ধরে আগামীর কৃষি হবে স্মার্ট কৃষি।