আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উস্কানি দিচ্ছে। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটা বিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সকল আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের উপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উস্কানিতে পড়ে সরকার বিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, চূড়ান্ত শুনানিতে আদালত সকল পক্ষের বক্তব্য এবং যুক্তিতর্ক আমলে নিয়ে চূড়ান্ত রায় প্রদান করবে। আমরা আশা করি, অচিরেই এই বিষয়ে সমাধান হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবি কখনোই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাবো, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার জন্য।