সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে ১২ জন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীর একটি প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপিটি জমা দেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, “আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে এবং স্মারকলিপিটি জমা দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর চলে যান। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।”
স্মারকলিপিতে আন্দোলনকারীরা নতুন আইন বা নির্বাহী আদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে “কোটা বৈষম্য” দূরীকরণের জন্য জাতীয় সংসদের একটি জরুরি অধিবেশন ডাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে আজ দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ১২ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশ সদস্যরা তাদের ভেতরে নিয়ে যান।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদ, সুমাইয়া আক্তার, আব্দুল কাদের, মেহরুন্নেসা নিদ্রা, আরিফ সোহেল, আশিক ও মোঃ মাহিন সরকার।
এর আগে আজ দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগ, মৎস্য ভবন হয়ে হাইকোর্ট এবং গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় অন্য শিক্ষার্থীরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এসব স্থানে অবস্থান গ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ১২-সদস্যের প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে ডাকা হয়।
বিক্ষোভকারীদের অবরোধে জিরো পয়েন্ট কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এর ফলে রাস্তা ঘিরে যানবাহন চলাচল এবং পরে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের উপর কয়েক ঘন্টা ধরে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।