প্যারিস অলিম্পিক দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের এন্ডি মারে। গতরাতে প্যারিস অলিম্পিকের দ্বৈত ইভেন্ট দিয়ে অবসরে গেলেন তিনি। তবে বিদায়টা রঙীন হলো না মারের।
পুরুষদের দ্বৈত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিৎজ ও টমি পল জুটির কাছে ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে হেরে যায় গ্রেট ব্রিটেনের মারে ও ড্যান ইভানস জুটি।
ইনজুরির কারনে আগেই অলিম্পিকের একক ইভেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মারে। পরবর্তীতে দ্বৈত ইভেন্ট দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষনা দেন তিনি।
পুরুষদের দ্বৈত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর মারে বলেন, ‘নিজের ক্যারিয়ারে যা অর্জন হয়েছে এবং এই খেলায় যতটুকু অবদান রাখতে পেরেছি, তা নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। অবশ্যই এটা অনেক আবেগের। কারণ, আমার ক্যারিয়ারের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ এটাই। আমি সত্যিই খুশি। যেভাবে শেষ হলো, তাতে আমি খুশি। এটা ভালো লাগছে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী অলিম্পিকেই শেষ করতে পেরেছি। কারণ, ইনজুরির কারণে গত কয়েক বছরে কোন কিছুই নিশ্চিত ছিল না।’
র্যাংকিংয়ে ৪০৭ নম্বও থেকে ২০০৫ সালে পেশাদার টেনিস খেলা শুরু করেছিলেন মারে। টেনিস জগতে নিজের দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে খুব বেশি সময় নেননি মারে। ২০১২ সালে ইউএস ওপেন দিয়ে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেন তিনি। তার শিরোপা জয়ে ব্রিটিশদের ৭৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরারকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন মারে।
এরপর ২০১৩ ও ২০১৬ সালে দু’বার উইম্বলডনের শিরোপা ঘরে তোলেন মারে। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও অলিম্পিকে পুরুষ ও নারীদের ইভেন্ট মিলিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকে দু’টি সোনা জয়ের কীর্তি গড়েন মারে। ঐ বছরই টেনিস র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেন মারে।
গত জুনে বিশে^র পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ১ হাজার ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৭ বছর বয়সী মারে। তার আগে এই তালিকায় নাম তুলেছেন সার্বিয়ার নোভাক জকোভিচ, স্পেনের রাফায়েল নাদাল ও ফার্নান্দো ভারদেসকো ও ফ্রান্সের রিচার্ড গ্যাসকুয়েট।