ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২৪ : বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগীতার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একইসাথে তিনি পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।
চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র জনতার উপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির উপর চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ স্যোসাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলিকে ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করা হয়েছে বিশেষভাবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহুর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সকল শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় তারা মরিয়া হয়ে ওঠেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের সকল নাগরিকবৃন্দ এ বিষয়ে সজাগ আছেন। আমাদের দল বিএনপি ইতিমধ্যে আমাদের সাধ্যমত সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরাতায় জড়িয়ে পড়বে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী সকল সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকদের। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি