ঢাকা, ১২ আগস্ট, ২০২৪ : সক্রিয় ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যোগদানের পথ চিরতরে বন্ধ করার আহবান জানালেন জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান গাজি আশরাফ হোসেন লিপু।
একই সাথে সক্রিয় কোন ক্রীড়াবিদকে দলভুক্ত না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতির আহবান জানান তিনি।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে লিপু বলেন,‘ আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি-আমি বিশ^াস করি কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবে কিনা-তা নির্ধারনের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া থাকবে।
একই সাথে, আমি এটাও যোগ করতে চাই যে দুই ভাবেই সংস্কার করা উচিত। একজন খেলোয়াড় জাতীয় দলের থাকাকালীন একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন এবং একই সাথে একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে কোন রাজনৈতিক দলে নেওয়া উচিত? উভয়েই দেশের জন্য কাজ করে। এটা একমুখী ট্রাফিক নয়। আপনি শুধু খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারবেন না, রাজনৈতিক দলকেও সমানভাবে দায়ী হতে হবে।’
জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন মাশরাফি আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে এমপি হন। এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন। ২০২৪ সালেও নড়াইল-২ আসন থেকে এমপি হন তিনি। একই বছর মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাকিব।
তাদের রাজনীতিতে যোগদান এবং একই সাথে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হয়েছে।। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিষয়টি আরও জোরালোভাবে সামনে আসে।
তিনি বলেন,‘ খেলাধুলা এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ড একই সাথে থাকলে আপনি কোনটি বেছে নেবেন? এ বিষয়ে নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকাটা ভাল। তাই একজন খেলোয়াড়ের রাজনীতিতে যাওয়র আগে তার অগ্রাধিকার সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত। আমি মনে করি পথটা চিরতরে বন্ধ করা উচিত।’
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও বার্তা দিয়েছেন লিপু। তিনি বলেন,‘একজন খেলোয়াড় যখন ভাল করতে থাকে আমি মনে করিনা তাকে কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এ বিষয়ে খেলোয়াড়দেরও ভাবতে হবে। সাকিব কোন ভুল করে থাকলে আমি মনে করি তার কাছ তা সংশোধন করা এবং নিজেতে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সুযোগ আছে।’