কেউ কেউ কিছু মুখরোচক গুজব রটানোর চেষ্টায় রত, কোনো প্রক্রিয়ায়ই যাদের বা যার বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই; যিনি বা যারা কোনোরকম হিসাব-নিকেশ আর আলোচনা-পর্যালোচনায় নেই, তাদের কারো কারো নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে হঠাৎ একটি খবর ক্রিকেট পাড়ায় চাউর হয়েছে। তা হলো, আগামীকাল (২১ আগস্ট) বোর্ড সভা। প্রতিটি পরিচালককে সে সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ খবর এখন ‘টক অব ক্রিকেট এরিনা’।
হঠাৎ কেন কী কারণে বোর্ড সভা? কে ডাকলো এই সভা? বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন লোকচক্ষুর অন্তরালে। শোনা যাচ্ছে, তিনি দেশের বাইরে। তাহলে বুধবারের বোর্ড পরিচালক সভা ডাকলেন কে? সভাপতির অনুপস্থিতিতে কোনো সহ-সভাপতিও নেই যে তিনি সভা ডাকবেন।
খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কাল বুধবারের বোর্ড সভা কি নতুন কোনো জটিলতার উদ্ভব ঘটাবে? এতদিন যে ফারুক আহমেদের সভাপতি হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছিল, সেটা কি ঠিক থাকবে? নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডপ্রধান পদ থেকে পদত্যাগের যে খবর চাউর হয়েছে, সেটার সর্বশেষ অবস্থা কী? এসব কৌতূহলি প্রশ্ন এখন প্রতিটি ক্রিকেট অনুরাগীর।
বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোনোরকম জটিলতার প্রশ্নই আসে না। কারণ বোর্ড সভা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে হবে না। সভাস্থল ঠিক করা হয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কার্যালয়ে। আর নাজমুল হাসান পাপনও সে সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকবেন না। বিসিবির একাধিক পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি (পাপন) অনলাইনে সভায় যোগ দেবেন।
বলে রাখা ভালো, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার আস্থাভাজন অনেকের মতো নাজমুল হাসান পাপনও লোকচক্ষুর অন্তরালে। শোনা যাচ্ছে, তিনি যুক্তরাজ্যে আছেন। সেখান থেকেই অনলাইনে বুধবারের সভায় যুক্ত হবেন পাপন।