ঢাকা, ২১ আগস্ট, ২০২৪ : সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিহত শিশুদের তালিকা তৈরি এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর ২০২টি সংগঠনের পক্ষে সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ সহিংস আন্দোলনকালে সারাদেশে কমপক্ষে ৭০ শিশু-কিশোর নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সহিংস এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে শতাধিক শিশু। নিহতদের মধ্যে ৬০ জনের মরদেহে গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নয় কিশোরের। শিশু-কিশোরদের অনেকে বিক্ষোভে গিয়ে এবং অনেকে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিহত হয়েছে। এমনকি বাসায় থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনে এত বেশি শিশু ও কিশোরদের মৃত্যুতে দেশের সাধারণ মানুষের মতো আমরাও ব্যথিত ও শোকাহত। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ফলে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে কোনো অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এতো প্রাণহানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ প্রত্যেকটি প্রাণই গুরুত্ব¡পূর্ণ। কোনো কিছুর বিনিময়ে তা পূরণ হবার নয়।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ আদালত গঠন করে নিহত ও আহত শিশুদের সঠিক তালিকা প্রকাশ, প্রত্যেকটি শিশুর হত্যার নির্মোহ তদন্ত করা এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং গুরুতর আহতদের যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদেরকে সব ধরনের নির্যাতন ও শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য শিশুবান্ধব আইন ও বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিদ্যমান আইন ও পদ্ধতির ফাঁকফোকর দূর করা এবং শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সঠিকভাবে বিকাশের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকার ও সাধারণ নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’