এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ের সে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের জবাবই দিয়েছেন নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। অনেক প্রশ্নের ভিড়ে কথা উঠেছিল সাকিব আল হাসানকে নিয়েও।
সাকিব প্রায় বছর দুয়েক যাবত বলগাহীন আচরণ করে আসছেন। যখন-তখন ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছেন বিদেশ। মন চাইলে খেলছেন, না চাইলে খেলছেন না। একটা সফর বা হোম সিরিজে হয় টেস্ট খেলছেন তো ওয়ানডে খেলছেন না। আবার কোনো সময় ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টি খেলছেন না।
আর প্রতি সিরিজ ও সফরের আগেই প্রায় শেষ মুহূর্তে দেশে এসে নামমাত্র অনুশীলন করে বিদেশে খেলতে চলে গেছেন। যাচ্ছেন এখনও। এবার পাকিস্তান সফরেও তাই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি আসর খেলে সাকিব সরাসরি পাকিস্তান গেছেন দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে।
সাকিব আর কতকাল এভাবে চলবেন? বিসিবি কি তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না? একজন ক্রিকেটার যত বড় ও বিশ্ব তারকাই হোন না কেন, তিনি তো আর দেশের ক্রিকেট এবং দেশের চেয়ে বড় নন। তাকে কি নিয়মের মধ্যে আনা যায় না? দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে এ প্রশ্ন বহুদিন ধরেই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।
বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাকিবকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। কী করে আনবেন? কিছু হলে সাকিব তাকে টপকে চলে যেতেন আরও ওপরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তিনিও সাকিবকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। সাকিবকে ডেকে নিয়ে নিজ দলের এমপি পদে মনোনয়ন দিয়ে সংসদ সদস্য করেছেন।
অনেকেরই অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর বিদায়ী বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের আস্কারা পেয়েই সাকিব ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করেছেন। কাউকে তোয়াক্কা করেননি।