অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ঐক্য নেতৃত্ব দিয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের অবসান হয়েছে। ফ্যাসিবাদ যেন আবার কখনো ফেরত না আসে সে জন্য সংস্কারের চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, একটা ফাউন্ডেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে ফাউন্ডেশন নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবে, আহতদের চিকিৎসা করবে এবং পরিবারগুলোর পুনর্বাসন করবে।
তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। সারাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান অক্ষত অবস্থায় নেই। ১৬ বছর ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা।
এ সময় সাংবাদিকরা সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক-মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করা, আইনের ৩৪ ধারা (পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার) বাতিল, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও নাগরিক সাংবাদিকতা বা অনলাইন গণমাধ্যমের স্বীকৃতির দাবি জানান।এর আগে সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৩ শ্রমিক শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার রিয়াজুল ফরাজী (৩৮), ডিপজল (১৯) ও মো. সজলের (৩০) পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিল্প উপদেষ্টা। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সরকারের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের পুনর্বাসন ও আর্থিক অনুদানের আশ্বাস দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।