বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ২,৪৯২-ক্যারেট হীরা পাওয়া গেছে বতসোয়ানায়।
বৃহস্পতিবার কানাডিয়ান খনি কোম্পানি এই হীরকখন্ড খুঁজে পেয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
কানাডিয়ান খনি কোম্পানি লুকারা ডায়মন্ড এক বিবৃতিতে বলেছে,এক্স-রে শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বতসোয়ানার উত্তর-পূর্বের কারোওয়ে হীরার খনিতে বৃহত্তম এই হীরক খন্ড আবিষ্কার করা হয়।
লুকারা খুঁজে পাওয়া এই হীরার আনুমানিক মূল্য সম্পর্কে কিছু জানায়নি। আনুমানিক ধারনা ও দিতে পারেনি।
ক্যারেট বিবেচনার প্রেক্ষিতে এটি ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কৃত ৩,১০৬-ক্যারেট কুলিনান ডায়মন্ডের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
লুকারার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ল্যাম্ব বিবৃতিতে বলেছেন,‘আমরা এই অসাধারণ ২,৪৯২-ক্যারেটের হীরা আবিষ্কারে আনন্দিত।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় রুক্ষ হীরাগুলোর মধ্যে একটি’। ২০১৭ সালে ইনস্টল করা কোম্পানির মেগা ডায়মন্ড রিকভারি এক্স-রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি শনাক্ত, উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা হয়।
লুকারা বতসোয়ানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম লাহরি বৃহস্পতিবার
প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি ম্যাসিসির কাছে তার অফিসে হাতের তালুর আকারের হীরক খন্ডটি তুলে দেন।
ম্যাসিসি কোম্পানিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, এটি এখন পর্যন্ত বতসোয়ানায় আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা।’ ‘এটি মহা মূল্যবান।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বতসোয়ানা বিশ্বের বৃহত্তম হীরা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি যা দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। জিডিপির ৩০ শতাংশ এবং এর ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয়।