আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন গণমানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এখন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন মানুষের জীবনে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার বাস্তবায়ন ঘটাবে।
আজ রোববার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে এখানে রাজনীতি বা দলীয় কোনো কিছুর প্রভাবের সুযোগ নেই জানিয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, যারা মনোনীত হবেন, তারাই বলবেন আমরা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষভাবে মনোনীত হয়েছি। কে থাকলো, কে থাকলো না সেটা সুধী-জনগণ সকলের মতামতের ভিত্তিতেই হবে।
তিনি বলেন, এখানে সংস্কার হবে। এখানে প্রাধান্য পাবেন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষ। আগের অনেক কিছুই এখানে থাকবে না। আপনাদের কিছু বলার থাকলে আমাকে জানাবেন, আমি তা ঊর্ধ্বতনমহলকে জানাবো।
এর আগে একই স্থানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা মত বিনিময় সভা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ, রিজিয়ন কমান্ডার-রাঙ্গামাটি মেজর আশফিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে রাঙ্গমাটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র মো. নাঈম, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম এবং রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের ছাত্র রেবাইয়াত হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।