বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের দ্বারা ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও আন্দোলনের অন্য একজন সমন্বয়ক জানান যে তাদের আবারও ঘেরাও করা হয়েছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্য এবং পরবর্তীতে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় আনসার সদস্যরা তাদের উপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের উপর এই হামলা চালানো হয়। প্রতিরোধ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এই প্রবল ঢেউ সামলাতে না পেরে আনসার সদস্যরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। দৌড়ে পালানোর সময় একাধিক আনসার সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভয়ে অনেক আনসার সদস্য সচিবালয়ের গেটের পাশে এবং আশপাশে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তারা জামা খুলে ফেললেও প্যান্ট, জুতা এবং অন্যান্য পরিচয় স্বরূপ জিনিসপত্র থেকে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য আহত হন।