গত রবিবার সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৪০ জন আনসার সদস্যকে আটক করে। পরবর্তীতে আজ তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনাটি রাজধানীতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানিয়েছেন, রবিবার রাতে সেনাবাহিনী তাদের অধীনে থাকা আনসার সদস্যদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আটক আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিবার দুপুরে আনসার সদস্যরা পদ জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয়ের পাঁচটি গেট বন্ধ করে দেন।
আনসার সদস্যরা সচিবালয় ও এর বিভিন্ন গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে কার্যত প্রশাসনিক এ কেন্দ্র সিলগালা করে দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আলোচনার পর আনসার ব্যাটালিয়ন তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যায়।
সচিবালয়ে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯টার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে একত্রিত হয়েছিলেন। শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে সচিবালয় এলাকার দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এরই জেরে শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।