মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প ও সিংগাইর থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত মো. সানোয়ার হোসেন সিংগাইর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী এলাকার তোফাজ্জল হোসেন ফকিরের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন জামির্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী এলাকার মাজাকাত হারুন প্রকল্প কোম্পানিতে (অ্যাগ্রো ফার্ম) গিয়ে ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে ২১ আগস্ট রাতে ওই ফার্মে প্রবেশ করে মো. সানোয়ার হোসেন ও তার লোকজন সেমিপাকা ঘরের গ্রিল, দরজা, জানালা, কেচি গেট, টিউবওয়েল, পানির মোটর, শ্যালো মেশিন এবং প্রায় ৩০ টন রড, আটটি সাইনবোর্ড ও পল্লী বিদ্যুতের একটি মিটার, ট্রান্সমিটারের ভেতরের যন্ত্রাংশ, চারটি সিলিং ফ্যানসহ প্রায় ৪৫ লাখ টাকার বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
প্রকল্প ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, সানোয়ার হোসেনসহ চক্রটি চাঁদার টাকা না দিলে এই কোম্পানিকে এলাকায় ব্যবসা করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। গত বছরের ১৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত সে হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয় মজিবর ও জাহাঙ্গীরসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেছে বিএনপি’র এই নেতা সানোয়ার। একই সঙ্গে মাজাকাত হারুন প্রকল্প কোম্পানিতে চাঁদা দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সাংবাদিক সায়েম জানান, আমি সানোয়ারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় আমাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা সানোয়ার।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আগেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। আদালত আমাকে জামিন দিয়েছেন।
সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।