গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর আরিচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধান শিক্ষিক সুলতানা রাজিয়া।
বুধবার (২৮ আগস্ট) স্কুলে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে প্রবেশ করতে দেননি এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। পরে তোপের মুখে পরে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ ভূঁইয়ার কাছে সেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধান শিক্ষিক সুলতানা রাজিয়া।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষিক সুলতানা রাজিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে বহিরাগতদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন। এ ছাড়াও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার পিএস কাউসারের সূত্র ধরে রাজিয়া সুলতানা শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন।
আরিচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবুল হোসেন বলেন, গত ২১ আগস্ট সকালে প্রধান শিক্ষিক বহিরাগতদের দিয়ে- ১ম থেকে ৮ম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে রাখে। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের রোষানলে পরে প্রধান ফটকের তালা খুলে ভেতরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বের করে আনা হয়।
অভিভাবকরা বলেন, আমরা কোমলমতি শিশুদের ২৫ আগস্ট স্কুলে পাঠাই। ওনদিন বেলা ১১টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্তকারী লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতরে অবস্থান নেয়। তারা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় দরজা-জানালায় লাঠি সোটা দিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় স্কুলে থানা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এমন ভীতিকর ও বিশৃংখল পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বহীন ভূমিকার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জেলা শিক্ষা অফিসে সুলতানা রাজিয়াকে অপসারণের জন্য চিঠি দেন। এরপর গত মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জেলা শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়ার পদত্যাগ দাবি করেন। একপর্যায়ে সুলতানা রাজিয়া সেচ্ছায় পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হন।