আওয়ামী লীগ সরকারের আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া মন্ত্রীরা হকেন- স্বাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সংসদ সদস্যরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য সলিম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, কুজেন্দ্র লালা ত্রিপুরা, কাজীম উদ্দিন, নুর ই আলম চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান।
এদিন দুদকের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যম অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন।
এর আগে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরি তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সাদেক খান ও সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিন সকাল ৭ টায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বাড্ডা থানার মামলায় আনিসুল ও সালনান এবং আদাবর থানার সাদেক ও জিয়াউলকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাদের আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।
২৪ আগস্ট রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।