বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতাকে দায়ী করে অবিলম্বে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ও খুরশিদ আলম খান গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার(২৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আজকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থার জন্য দায়ী পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল ও দুদকের আওয়ামী লীগের দালাল প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এই সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দেশনেত্রীকে বছর পর বছর কারাগারের স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার প্রকোষ্টে বিনাচিকিৎসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন।
রিজভী আরও বলেন, কাজল-খুরশিদ দুর্বৃত্ত চক্র তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিয়েছে। এই দুর্বৃত্ত চক্র বিএনপিসহ বিরোধী দল মতের বহু মানুষের জীবন তছনছ করে দিয়েছে। দুদকের মতো একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হাসিনা কাজল-খুরশিদ গংয়ের মতো ছাত্রলীগের ক্যাডার দিয়ে সম্পূর্ণভাবে লীগের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন। মোশাররফ হোসেন কাজল ছিলেন ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্রের বিবর্তনে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাজনৈতিক সংগ্রাম বা বিপ্লবেরই ফলশ্রুতি। কোনোভাবেই বি-রাজনীতি করণের আভাস যেন ফুটে না ওঠে। আমরা এখনো গভীর উদ্বেগের সাথে অবলোকন করছি, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ফ্যাসিবাদের আমলেরই সাজানো দুদকেরই কার্যক্রম চলছে। নির্বাচন কমিশন সেই লীগ কমিশন যারা শেখ হাসিনার অবৈধ ভোটকে ন্যায্যতা দান করেছে, ভোটারবিহীন ভোটকে অংশগ্রহণমূলক করেছে। হাসিনার প্রেতাত্মারাই বহাল তবিয়তে চেয়ারে বসে আছে। এই সব প্রতিষ্ঠান স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও শেখ হাসিনা এগুলোকে কব্জায় নিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুদককে দায়িত্বই দেওয়া হয়েছিল বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান, ওনার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে খড়গ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। ওয়ান ইলেভেন থেকে এই দুদকে বিএনপির ওপর নির্দয় নিপীড়নের যন্ত্র হিসেবে সরকারি কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল, খুরশিদ আলম খানসহ আইনাঙ্গনের মাফিয়াদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মাফিয়ারা এখনো আদালত প্রাঙ্গণে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র, উন্নয়ন সমৃদ্ধির ধারক ও বাহক জিয়া পরিবারকে কারারুদ্ধ করা, হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি সাজার কারিগর দুদকের এই কাজল, খুরশিদ গং।