অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনো মামলা প্রত্যাহার করতে চান না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে এ কথা বলেন তিনি। আজ ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ড. ইউনূস আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করতে চান। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পক্ষে কোনো অভিযোগও নেই। তার বিরুদ্ধে করা মামলা যে প্রত্যাহার হয়েছে তাও জানতেন না তিনি।
পিটিশনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন আদালতকে জানান, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলাটি প্রত্যাহার করেছে।
এ সময় দুদক আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়নি। এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা কি তবে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি। এর আগে হাইকোর্ট ২৪ জুলাই ড. ইউনূসের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে যে আদেশ দিয়েছিল সেই আদেশের কপি চান। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় সোমবার ফের শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
তার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ড. ইউনূস আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করতে চান। তার বিরুদ্ধে করা মামলা যে প্রত্যাহার হয়েছে তাও জানতেন না তিনি।
গত ১১ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পান নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা থেকে ড. ইউনূসকে খালাস দেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
প্রসঙ্গত, শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সবশেষ গত ১১ আগস্ট ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলার প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ড. ইউনূসকে দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেন।