প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবসহ নেতাদের বহন করা গাড়ি বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
মহাসচিবের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল
অ- অ+
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরোনো ছবি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবসহ নেতাদের বহন করা গাড়ি বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
মহাসচিবের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে মহাসচিব স্যারের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসেছেন।
ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত ১২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি যমুনায় প্রথম বৈঠক করেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেনতিয়েভিচ মান্টিটস্কি।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৈজ্ঞানিক, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমির খসরু বলেন, রাশিয়া জানতে চাচ্ছেন, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে এই সংকট উত্তরণ নিয়ে আমরা কী চিন্তা করছি। আমাদের তরফ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে, বিএনপি সবার সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বাসী। কোনো বিশেষ দেশ বা আলাদাভাবে আমরা কাউকে দেখি না। সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এবং বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে রাশিয়ার মানুষের সম্পর্ক থাকবে।
পর্যটন খাতে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া একটি বিশাল দেশ। সেখানে টুরিজমের সুযোগ আছে। তারা এখানে বোধহয় একটা অফিসও খুলতে চাচ্ছে। ভবিষ্যতে ব্যাংকের শাখা করতে চাচ্ছে। আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের অবস্থান পরিস্কার করেছি, যত শিগগিরই অন্তর্বতী সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, আমরা এই অন্তর্বতী সরকারকে এবং তাদের কার্য্ক্রমে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিফর্মগুলো যে রিফর্মগুলো নিয়ে আলোচনা হবে সেগুলো তাড়াতাড়ি করে একটা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে আমরা সবার সাথে সুসম্পর্ক রেখে যে দুই দেশের মধ্যে যে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেইজগুলো আছে সেগুলোর সুযোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে যেখানে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেইজগুলো আছে সেগুলোর আমরা সুযোগ নিতে চাই, দুই দেশের সম্পর্ক হতে হবে পরস্পরে লাভবান হতে হবে, পরস্পরের প্রতি সন্মানবোধ থাকতে হবে। সেই বিষয়গুলো আমাদের আলোচনায় উঠে এসেছে।
সাক্ষাতে মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।