ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী যোগদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি যোগ দেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের স্বাক্ষরে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ১৪ (১) ধারা অনুযায়ী তার নিয়োগ প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। এর আগে তিনি ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্নাড্য একাডেমিক ক্যারিয়ারের সাথে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্যাংক রাকায়াত ইন্দোনেশিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টো এবং তাইওয়ানের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে কাজ করেছেন।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে বিকম (অনার্স) ও এমকম (মাস্টার্স) এবং ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং থেকে মাইক্রোফিন্যান্সে পিএইচডি লাভ করেন।
তার গবেষণার আগ্রহের বিষয়গুলো হল – ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র্যবিমোচন, নিরাপত্তা জাল, উদ্যোক্তা, জলবায়ু অর্থায়ন, ইকোসিস্টেম পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদান, করপোরেট গভর্ন্যান্স এবং করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা ইত্যাদি।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ), সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক্স, ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং, রয়্যাল ইকোনমিক সোসাইটি, এশিয়ান স্কলারশিপ ফাউন্ডেশন এর মতো সংস্থাসহ জাপান সরকার, ব্যুরো অফ বিজনেস রিসার্চ (বিবিআর), পার্টনারশিপ ফর ইকোনমিক পলিসি (পিইপি), গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ কানাডা, মাইক্রোফাইনান্স ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং তাইওয়ান সরকারের কাছ থেকে গবেষণার জন্য অর্থায়ন পেয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি বিশ্বব্যাংক, সিআইডিএ, ডিএফআইডি, এফএও, ইউএনডিপি, পিকেএসএফ এবং বাংলাদেশ সরকারসহ অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরামর্শক হিসেবে অবদান রেখেছেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর অন্তত ৩০টি নিবন্ধ স্বনামধন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমকক্ষ গ্রহণযোগ্য জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।