টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে চট্টগ্রমের পাঁচ উপজেলার বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি। নষ্ট হয়েছে ধান, বীজতলাসহ গজিয়ে ওঠা শাকসবজির আবাদ। বন্যায় চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৩৯৩ কোটি টাকার কৃষি আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখন পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় পানি রয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতি আরও বাড়তে পাওে এবং এবারের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তথ্যমতে, টানা বৃষ্টিপাত, জোয়ার, জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা এবং নগরীতে বিভিন্ন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ফটিকছড়ি, মিরসরাই উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি কৃষি পরিমাণ কৃষিজমি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়িতে। উপজেলাটিতে ক্ষতির পরিমাণ ৯৯ কোটি টাকার মতো। এ ছাড়া মিরসরাইয়ে ৪৮ কোটি, হাটহাজারীতে ২২ কোটি, লোহাগাড়াতে ২ দশমিক ৫২ কোটি, সাতকানিয়ায় ২ দশমিক ৯ কোটি ও সীতাকুণ্ডে ১ দশমিক ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলাগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং ও পাঁচলাইশ এলাকার কিছু অংশে আমনের চাষ হয়। সেখানেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্যায় চট্টগ্রামে শুধুমাত্র রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২৫১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ১৩ হাজার ৮৩১ হাজার হেক্টর জমি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭১ জন কৃষক আক্রান্ত হয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক কৃষিবিদ ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ১৫ উপজেলা ও মহানগরীতে কৃষি খাতে ৩৯৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ এবং ডবলমুরিং এলাকায় আমনের চাষ হয়। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কারণ অনেক উপজেলায় এখনো পানি জমা আছে।