চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় বহু গান উপহার দিয়েছেন, অডিওতেও তাঁর সাফল্য ঈর্ষণীয়। তবে অনেক দিন হলো গানে নিষ্প্রভ নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। রাজনৈতিক টানাপড়েন, সংগীত এবং নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম। প্রথমে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, এখন বন্যা। এগুলোর সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা কেমন?
টিএসসিতে যে গণত্রাণ কর্মসূচি হয়েছে, সেখানে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। আমার মনে হয়েছে, যাদের দুর্গত এলাকায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে, তাঁদেরই যাওয়া উচিত। আমরা ত্রাণ কিংবা আর্থিক সহযোগিতা দিয়েই পাশে দাঁড়াতে পারি।
আর আন্দোলনের সময়টা নিয়ে বললে, রাজপথে যারা বলতে পেরেছে, বলেছে। কেউ হয়তো দাবিটা চিৎকার করে বলেছে, কেউ আস্তে বলেছে। বলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ১৬ জুলাই আমি ময়মনসিংহের বাড়িতে ছিলাম।
তখনো পর্যন্ত এর ভয়াবহতা জানতাম না। ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের মতো মনে হচ্ছিল। আমি যেহেতু একটি দলের সমর্থক, প্রতি আন্দোলনের সময় আমার বাড়ির কিছু না কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবারও আমার বাড়ির রেলিংগুলো কেটে নিয়ে গেছে। ১৬ জুলাই রাত থেকে বাংলাদেশের সব মানুষ মনে হয় না ঘুমাতে পেরেছে।
শিল্পী হিসেবে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানানো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাটা কি কঠিন?
আমার জন্য বলা কঠিন ছিল না। আওয়ামী সরকারের আগ্রাসনটা আমি আগেই দেখে ফেলেছি, সুতরাং আমার আর কী খারাপ হবে! যা যা হওয়ার, হয়েছেই। কাজ হারানো, ব্ল্যাক লিস্টেড হওয়ার ভয় আমার ছিল না। অন্যরা যে ভয় পাচ্ছিল, তাঁদের ভয়টা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমার ভয়টা ছিল অন্য রকম। আমার বাসার লিভিং রুমে একটি বড় স্লাইডিং দরজা আছে। ছোট মেয়েটার বয়স দুই বছর। আমার ভয় হচ্ছিল, এদিকেও তো তৎকালীন সরকার হেলিকপ্টার পাঠাবে, গুলি ছুড়বে! দরজাটা আবার লক হয় না। সেটা মেরামতের জন্য লোক ডেকেও পাচ্ছিলাম না। এত আতঙ্কে ছিলাম, বাইরে গেলেও সারাক্ষণ সিসিটিভিতে খেয়াল রাখছিলাম, যাতে মেয়েটা বারান্দায় চলে না যায়। এই ভয়ের কথা বলে বোঝাতে পারব না।