ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার ১৪টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলায় কৃষি ও মৎস্য খাতের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, জেলায় এ খাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩০৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, জেলাজুড়ে ৪ হাজার ২১৩টি গবাদিপশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২ লাখ ৯ হাজার ৯১৪টি বিভিন্ন শ্রেণির গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজার মূল্যে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ কোটি টাকার বেশি। তার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত গরুর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৬২২টি, ১৬টি মহিষ, ৩০ হাজার ৮৯২টি ছাগল ও ৬৯৩টি ভেড়া। মারা গেছে ৩৫টি গরু, তিনটি মহিষ, ১৭১টি ছাগল এবং সাতটি ভেড়া।
হাঁস-মুরগির মধ্যে ২ হাজার ২১৮টি খামারে ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৯টি হাঁস-মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজার মূল্যে যা ৩৯ কোটি টাকা। এসবের মধ্যে ২১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৩টি মুরগি, ৩১ হাজার ৬৯৩টি হাঁস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৪২টি মুরগি এবং ২ হাজার ১৬০টি হাঁস। প্লাবিত হয়েছে ২ হাজার ১ দশমিক ৫ একর চারণভূমি।
খাদ্যের মধ্যে ২ হাজার ৬০৩ টন পশুপাখির দানাদার খাদ্য নষ্ট হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৫৯ কোটি টাকা। ৫৫ হাজার ৪৩৪ টন পশুপাখির খড় নষ্ট হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৮৯ কোটি টাকার বেশি।
এ ছাড়াও ৫৮ হাজার ৭৫১ টন ঘাস নষ্ট হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৭০ কোটি টাকা। মৃত পশুপাখিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও জেলায় বন্যায় আহত ১ হাজার ৫০০টি গবাদিপশুকে এবং ১১ হাজার হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার জানান, কুমিল্লায় বন্যায় প্রাণিসম্পদে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। জেলার বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ তালিকা প্রস্তুত করেছি। বন্যার পানি নেমে গেলে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পরবর্তীতে জানানো হবে।