রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য পাকিস্তান দলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর এই পরিবর্তন আসা আশা করা হচ্ছিল এবং সেটাই হয়েছে।
দল থেকে বাদ পড়েছেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে। এছাড়া, পেসার মির হামজাকেও এই টেস্টের জন্য ১২ সদস্যের দলে রাখা হয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে পাকিস্তান দলের বোলিং আক্রমণে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে কোনো খেলা সম্ভব হয়নি। আজ টসও হয়নি, ফলে দুই দলের একাদশ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
যদিও আজকের খেলা বাতিল হয়েছে, তবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের একাদশ নিয়ে বেশ কিছু জল্পনা-কল্পনা চলছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের দ্রুতগতির বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হারের দায় শাহিন আফ্রিদির উপর চাপানো হয়েছে। এই কারণেই তাকে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ১২ সদস্যের দলে রাখা হয়নি।
এই সিদ্ধান্তে শাহিন আফ্রিদি খুবই হতাশ। দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া তার জন্য একটি বড় ধাক্কা।
পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ শাহিন আফ্রিদি সাম্প্রতিক সময়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। তিনি সদ্য পিতা হওয়ায় নিজের সন্তানের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন। ম্যানেজমেন্ট তার আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু পরবর্তীতে আবার তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। এই সিদ্ধান্তের কারণ এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
অবশেষে, দল ঘোষণার সময় শাহিন আফ্রিদিকে দলে রাখা হয়নি। এই ঘটনায় তিনি বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শাহিন বুঝতে পারছেন না যে, যদি তাকে দলে রাখার কোনো ইচ্ছা না থাকে, তাহলে তাকে কেন করাচি থেকে ফিরিয়ে আনা হলো।