বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলিতে ডান চোখ একবারে অন্ধ হয়ে যায় এবং বাম চোখ হারানোর আশঙ্কায় আল আমিন।
তালতলী উপজেলার ৫নং বড়বগী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (২৮)। তার ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায় আর বাম চোখের রেটিনা ফেটে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসা জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজনে দুশ্চিন্তায় অসহায় পরিবারটি।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই সকালে মধ্য বাড্ডা বাসা থেকে প্রতিদিনের মতো কাজে যাওয়ার সময় গুদারাঘাটের সামনে মিছিলের মধ্যে পড়েন তিনি। এ সময় পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে। পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হন আল আমিন।
তার শরীরে ১০টি, ডান চোখে একটি ও কপালে একটি, পিঠে একটি, ঘাড়ে একটি গুলি লাগে। ওই মুহূর্তে তাকে ফার্মগেট ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয় বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক আফরোজা বেগম অপারেশনের মাধ্যমে চোখের গুলি বের করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে রেফার্ড করেন। তবে অর্থের অভাবে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া হয়নি। বর্তমানে চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতেই যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আল আমিন।
আল আমিন জানান, ওই দিন বাসা থেকে কাজে উদ্দেশে বের হয় পরে গুদারাঘাটে পুলিশের ছোড়া গুলির শিকার হই আমি। আমার চিকিৎসার জন্য দেশের বাড়ি থেকে মা ও বাবা ঋণ করে গুছিয়ে দুই লাখ টাকা আমার স্ত্রীর কাছে পাঠান। সেই টাকা দিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়। এখন সব টাকা শেষ, চোখটাও ভালো হলো না। কিছুই দেখতে পারি না।
আল আমিনের স্ত্রী কারিমা বেগম বলেন, স্বামীর মজুরির টাকা দিয়ে কোনো রকম পরিবার চলে। এখন তার চিকিৎসার জন্য ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা প্রয়োজন। কোথায় পাব এত টাকা।