রাজধানী ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটনে তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে সোহাগ মিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয় । এ ঘটনায় ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ২৪ আগস্ট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীদের দমন করার ঘোষণা দেয় আসামিরা। গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডের ফরাজী হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি নির্দেশনায় গুলিবর্ষণ করলে সোহাগ মিয়ার (১৬) বাম কানের মধ্যে গুলি লেগে মাথার পেছন দিয়ে বের হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।