২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। এ জন্য পূর্বাচলে নতুন একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বদলে গেছে অনেক কিছু।
নাজমুল হাসান পাপনের পরিবর্তে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন ফারুক আহমেদ। গত ১৪ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম পূর্বাচলের স্টেডিয়ামের জায়গাটির পরিদর্শন করেন তিনি।
৩১ আগস্ট (শনিবার) পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের পরিদর্শনকালে বিসিবির সভাপরি সঙ্গে পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী এনাম আহমেদ, নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এর আগে ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) প্রথম বোর্ড সভা শেষে পূর্বাচলের স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিলের কথা জানিয়ে বিসিবির সভাপতি ‘বাতিল হয়েছে কারণ, আপনারা জানেন এত বড় প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে। ওখান থেকে আমরা খুব বেশি হ্যাঁ বা না, কোনোটিই পাইনি। আর যেহেতু সময় নেই, আগামীকালই শেষ দিন, এজন্য আমাদের এটা করতে হতো (বাতিল)। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, যদি আমরা মনে করি, রিভাইজ করে কিছু করা যায় কি না, তাহলে আমরা চেষ্টা করব নতুন করে কিছু করার জন্য।’
এ ছাড়া স্টেডিয়ামের নাম ও নকশারও পরিবর্তন আসবে বলে জানা যায়। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এই মাঠ আমরা সবাই মিলে দেখতে যাচ্ছি। কারণ যে টাকাটা খরচ হয়েছে তার শতভাগ তো পাওয়া যাবে না, কারণ প্রকল্প অনেক বড় ছিল। ওখান থেকে আমরা ছোট করে যতটাকা খরচ হয়েছে, কিছু যদি আমরা রিকভারি করতে পারি সেই চেষ্টা করব। ধরুন, খেলার দুটো মাঠ যদি আমরা করতে পারি মূল নকশা ঠিক করে, সেই চেষ্টা করব। কনসালটেন্সি ফার্মকে কিছু টাকা যে দেওয়া হয়েছে, ওখান থেকে যাতে আমরা কিছু রিটার্ন পাই কি না সেটাও দেখা হবে।’