নরক আসলে দেখেতে কেমন? পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় কেউ দোজখ দেখার অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে তাকে যেতে হবে মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানে।
সেখানে নাকি আছে নরকের দরজা। ১৯৭১ সাল থেকে তা জ্বলছে।
এই নরক দেখতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। শুরুতে খুব বেশি পর্যটকের চাপ না থাকলেও এখন অনেকেই কৌতূলহবশত সেখানে ছুটছেন।
জানা যায়, নরকের দরজা খ্যাত অগ্নিগর্ভটি প্রায় ২৩০ ফুট চওড়া এবং ১০০ ফুট গভীর। যেখানে কাউকে ফেলে দিলে বেঁচে ফেরা মুশকিল। তাকে নিমিষেই হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে হবে।
৫৩ বছর ধরে জ্বলতে থাকা নরকের দরজাটি দেখতে গিয়ে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এ জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশাল আকারের দানবীয় গর্তটির চারপাশে ২০১৮ সালে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে সোভিয়েত অনুসন্ধানকারীদের একটি দল যখন তুর্কমেনিস্তানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান করেছিল, তখন অনেকটা দুর্ঘটনার মতন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে তৈরি হয় একটি বিশাল ‘অগ্নিগর্ভ’, যা শেষ পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
কীভাবে এই অগ্নিগর্ভ তৈরি হলো তা নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। বিশ্লেষকদের মতে, সেখানে মিথেন গ্যাসের কারণে অগ্নিগর্ভ হয়ে জ্বলছে। যা শুরুর পর থেকে কখনো নেভেনি।
ভয়াবহ দানবীয় এই জ্বলন্ত গর্ত রাতের আধারে যে এক অপূর্ব দৃশ্য। মনে হবে, পৃথিবীতে নেমে এসে জ্বলজ্বল করছে তারা। অনেকে এই অগ্নিগর্ভটিকে ‘কারাকুম মরুভূমির চমক’ বলেও ডাকেন।
এখানে আসা ভ্রমণকারীদের রাতে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক কটেজ। গড়ে তোলা হয়েছে বিলাসবহুল ক্যাম্পও। কেউ চাইলে গাড়ি নিয়েও ঘুরে দেখতে পারেন গোটা এলাকা।