সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হৃদয় আহমেদ (২২) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১১৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ সময় মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫০/২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নিহত হৃদয় আহমেদের বাবা রাজু আহমদ সাভার মডেল থানায় এ মামলাটি করেন।
নিহত হৃদয় বগুড়া জেলার সিংড়া থানার ছাতাদীঘি থানার রাজু আহমদের ছেলে। সে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
আসামিরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল গণি, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা, তেঁতুলজোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডল, সাভার সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল রানা, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয় ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হৃদয় আহমেদ সাভারের থানা রোড়ে মুক্তিমোড় এলাকার আসে। সেখানে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমে এবং প্ররোচনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী অঙ্গসংঘঠনের অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা হামলা করে। এ সময় আসামিদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের ধাওয়া করে এবং এলোপাতাড়ি পেটায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়া উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ করে। হৃদয়ের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট সকালে হৃদয়ের মৃত্যু হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আতিকুর রহমান আতিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০/২০০ জনের বিরুদ্ধে হৃদয়ের বাবা রাজু আহমদ একটি মামলা করেছে।