বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড, ইয়াবা ও চোরাচালানের গডফাদার, বিজিবি কর্তৃক ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ অপরাধী নবী হোসেন বাহিনীর প্রধান, নবী হোসেন ও তার ভাইকে বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১০টায় নবী হোসেন ও তার ভাইকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল।
গ্রেপ্তার নবী হোসেন (৪৭) ও তার ভাই সৈয়দ হোসেন ভূলু (৪৫) উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ইস্ট ব্লক বি-৪১ এর বাসিন্দা মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে। তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহঅধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাতে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের একটি দল উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ইরানি পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পাধীন ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওয়েস্টের মেন ব্লক বি সাব ব্লক আই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মোস্ট ওয়ান্টেড চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া নবী হোসেন ও তার ভাই সৈয়দ হোসেন ভূলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে, ২টি বিদেশি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়।
ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল জানান, গ্রেপ্তার নবী হোসেন মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান। তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা চোরচালানের মূলহোতা বা গডফাদার হিসেবে পরিচিত। উখিয়া এবং টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় তার নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। যার মাধ্যমে তিনি হত্যা, অপহরণ এবং ইয়াবা চোরাচালান করে থাকেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নবী হোসেনকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বিজিবি। নবী হোসেনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একাধিক মামলা থাকার পাশাপাশি মিয়ানমারেও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, নবী হোসেন ও তার ভাইকে গ্রেপ্তারের খবরটি আমরা শুনেছি। তবে আমাদের থানায় এখনো তাদের হস্তান্তর করা হয়নি।