রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান-বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিনটি স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ২৭৪ রানে অলআউট করেন বোলাররা। পরে ২ ওভার ব্যাটিং সুযোগ পেয়ে বিনা উইকেটে ১০ রানে দিন শেষ করেন দুই ওপেনার।
লিডের লক্ষ্য নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমেছেন দুই টাইগার ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। যদিও নিজেদের ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ।
শাহিন শাহ আফ্রিদির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া মীর হামজার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে তা ধরে রাখতে পারেননি সৌদ শাকিল। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি দুই ওপেনার।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে ১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে স্বপ্নের মতো শুরু করেন তাসকিন। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পাকিস্তানের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।
দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শান মাসুদ। পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটি।
মাসুদের মতো অর্ধশতক করে সাজঘরে ফেরেন আইয়ুবও। তাকেও আউট করেন মিরাজ। ডাউন দ্য উইকেটে স্লগ করতে গিয়ে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ব্যক্তিগত ১ রানে তাসকিনের বলে স্লিপে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ।
তবে সেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন শাকিল। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন সাকিব। দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এতে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দ্রুত তুলে নেন নাহিদ রানা। এরপর টেল এন্ডের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই করেন সালমান আগা। তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। লিটন দাস আবরার আহমেদকে স্ট্যাম্পিং করলে, মিরাজের ঝুলিতে যোগ হয় পঞ্চম উইকেট। এ নিয়ে ইনিংসে ৮ বার ৫ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি এ অলরাউন্ডার।