কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অফিস থেকে ফাইলপত্র গায়েব এবং ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উপ-সচিব আফজাল উর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে মূল্যবান নথি, মালামাল এবং ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বার কাউন্সিলের পলাতক উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমান, দারোয়ান মো. বদিউজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ এবং তালা খোলার অজ্ঞাত এক মিস্ত্রির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বার কাউন্সিলের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন সুলতানা রাব্বি রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা এজাহারে বলা হয়, বার কাউন্সিলের উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমানের বিরুদ্ধে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতির অভিযোগ করে অপসারণ দাবি করাকালীন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকশ আইনজীবী ও ছাত্র-জনতা গত ১৩ আগস্ট দুপুরে অফিসে আসার আগেই তিনি খবর পেয়ে পালিয়ে যান। তখন আইনজীবীরা এবং অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার অফিস চেম্বারে তালা মেরে চাবি বার কাউন্সিলের সচিবের জিম্মায় রাখেন। বিষয়টি বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এটর্নি জেনারেলকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা হয়। তারপর থেকে উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমান ছুটি ছাড়া পলাতক থাকেন।
এজাহারে বলা হয়, ১৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে মো. আফজাল উর রহমান তার ব্যক্তিগত ঢাকা মেট্রো-গ ২৩-৫১৩৫ নং গাড়িযোগে অফিসে এসে দারোয়ান বদিউজ্জামান ও মাসুম বিল্লাহর সহযোগিতায় বহিরাগত তালা খোলার একজন মিস্ত্রিকে সঙ্গে নিয়ে ৫ম তলায় তার অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসের সব মূল্যবান রেজুলেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে (ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ বস্তা) নিয়ে দুপুর ১টা ৮ মিনিটে নিজ গাড়িযোগে পালিয়ে যান।
দারোয়ান বদিউজ্জামান সচিবসহ অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জানান, ওই ৫ বস্তার মধ্য সাম্প্রতিক নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে প্রাপ্ত এক বস্তা টাকাও রয়েছে বলে তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। এ অবস্থায় বার কাউন্সিলের পলাতক উপ-সচিব মো. আফজাল-উর রহমান, দারোয়ান মো. বদিউজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, অজ্ঞাত তালা খোলার মিস্ত্রিসহ অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারপূর্বক এবং বার কাউন্সিল থেকে চুরি করা মূল্যবান মালামাল ও তার ঘুষের টাকা উদ্ধারপূর্বক এ অভিযোগটি আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।