শেষ পর্যন্ত জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভারকুসেনের অপরাজিত থাকার রেকর্ডে ছেড় পড়েছে। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে অপরাজিত থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা শনিবার লিপজিগের কাছে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। এর মাধ্যমে ৩৫ ম্যাচ পর বুন্দেসলিগায় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল লেভারকুসেন।
বে এরেনাতে জেরেমি ফ্রিমপং ও এ্যালেক্স গ্রিমাল্ডোর গোলে প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল লেভারকুসেন। বিরোধে জড়িয়ে প্রথমার্ধেই সফরকারী কোচ মার্কো রোস ডাগ আউট ছেড়ে স্ট্যান্ডে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কেভিন কামপালের গোলে লিপজিগ এক গোল পরিশোধ করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লোয়িস ওপেন্ডার গোলে দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসে লিপজিগ। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে ওপেন্ডার দ্বিতীয় গোলে লিপজিগ লেভারকুসেনকে হারের স্বাদ দেন।
লেভারকুসেন অধিনায়ক জোনাথন টাহ বলেছেন, ‘আমাদের সামনে সুযোগ ছিল ভালভাবে ম্যাচ শেষ করার। কিন্তু দ্রুত দুই গোল হজম করে আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলি। একটি দল হিসেবে আমাদের আরো ভাল করা উচিৎ ছিল। এই ম্যাচ থেকে আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে।’
ঘরের মাঠে ৪৬৩ দিনে টানা ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড থেকে বেরিয়ে আসলো লেভারকুসেন। এ বছর জাভি আলোনসোর দল ১৭টি গোল দিয়েছে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে কিংবা তার পরে। এই গোলগুলোর মাধ্যমে তারা অপরাজিত থাকার রেকর্ডকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এবার আর সমতা ফেরাতে পারলো না।
লেভারকুসেনের খেলোয়াড়দের দ্বারা নিজ দলের খেলোয়াড়কে ফাউলের বিপরীতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রোস দ্রুত দুটি হলুদ কার্ড দেখে ডাগ আউট ছাড়তে বাধ্য হন।
শনিবার দিনের শুরুতে ওয়ার্ডার ব্রেমেনের সাথে গোলশুন্য ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। পুরো ম্যাচে ডটমুন্ডের আধিপত্য থাকলেও গোল আদায় করতে পারেনি। সেন্টার –ব্যাক নিকো শোটারবেক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও শেষ ১৭ মিনিট ডর্টমুন্ডকে একজন কম নিয়ে খেলতে হয়েছে।