জার্মান জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার জসুয়া কিমিচকে মনোনীত করেছেন কোচ জুলিয়ান নাগলেসম্যান।
হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে আগামী শনিবার নেশন্স লিগের ম্যাচকে সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে নাগলেসম্যান বলেন, ‘কিমিচ পুরো দলের জন্য একজন রোল মডেল। সে সবসময়ই মাঠে শতভাগ দেবার চেষ্টা করে, অনুশীলনেও দারুন সিরিয়াস, অনেক সময় এই মনোযোগ একটু বেশীই হয়ে যায়। কিন্তু কখনই সে পরিশ্রান্ত হয়না, সবসময় জয়ের জন্যই সে মাঠে নামে।’
নাগলেসম্যান আরো বলেছেন, ২৯ বছর বয়সী কিমিচ রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার এন্টোনিও রুডিগার ও আর্সেনাল স্ট্রাইকার কেই হাভার্টজের মত দলকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা রাখে। পুরো দলের সাথে এই তিনজনেরই ঘনিষ্ট যোগাযোগ আছে।
ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে অধিনায়কত্ব করা ইকে গুনডোগান গত মাসে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দিয়েছেন। কিমিচ তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জার্মানীর সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন কিমিচ। সাবেক কোচ হান্সি ফ্লিকই তাকে গুনডোগানের পিছনে থেকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে এখন তার কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্ব পড়েছে।
জার্মান ফুটবলের নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেবার দায়িত্ব পেয়েছেন এই মিডফিল্ডার। গুনডোগানের সাথে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী টনি ক্রুস, থামস মুলার ও ম্যানুয়েল নয়্যারও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন।
স্টুটগার্টের যুব দল থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কিমিচ। তার সাথে ঐ সময় আরো ছিলেন সার্জি গ্যানাব্রি ও টিমো ওয়ার্নার। ২০১৩ সালে আরবি লিপজিগে যোগ দেয়া কিমিচ ২০১৫ সালে বায়ার্নে পাড়ি জমান। ২০১৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর এ পর্যন্ত জার্মানীর জার্সিতে ৯১ ম্যাচ খেলে ৬ গোল করেছেন।
২৯ বছর বয়সী কিমিচের সবসময়ই ইচ্ছা ছিল বায়ার্ন ও জার্মান দলে মধ্যমাঠে খেলবেন। কিন্তু প্রায়ই তাকে পিছনে নেমে দলের প্রয়োজনে রাইট-ব্যাক পজিশনে খেলতে হয়েছে। ইউরোতেও তিনি ডিফেন্ডার হিসেবেই দলে ছিলেন।
বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ফিলিপ লাহমের সাথে কিমিচের তুলনা করা হয়। পুরো ক্যারিয়ারে বেভারিয়ান্সদের হয়ে খেলা লাহম ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন।
ডাসেলডর্ফে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী ম্যাচ খেলতে নেদারল্যান্ডস সফরে যাবে জার্মানী।