পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাইফুল ইসলাম খান রঙ্গন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেহজাদ হোসনের অনুসারী ছিলেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রঙ্গন পূর্বের ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে শাখা ছাত্রলীগের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সভাপতি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহজালাল হোসেনের নামে একটি পোস্ট করেন। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে সুবিধাভোগী সুশীল ও বিভিন্ন ভাষায় বিদ্রুপ করে মতামত প্রকাশ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, তখন ভুক্তভোগী রঙ্গন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে বিরোধ দুর করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একত্রিত হয়। তারা নিজেদের মধ্যে মিমাংসা করার একপর্যায়ে আবারও কথা-কাটাকাটিতে লিপ্ত হলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া কয়েকজন বহিরাগত রঙ্গনের উপর হামলা চালায়।
হামলার শিকার রঙ্গন বলেন, ফেসবুকে একটি পোস্টের মন্তব্য করা নিয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন বন্ধুর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনের যাই। সেখানে যেয়ে তাদের সাথে আলোচনার সময় আবারও কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয় এবং কিছু বহিরাগত আমার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। যাদেরকে আমি চিনতে পারিনি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘রঙ্গনের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আমাদের বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কিছু মতানৈক্য হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য তাকে নিয়ে প্রধান ফটকে কাছে আসি। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন সময়ে কিছু বহিরাগত এসে তাকে অতর্কিত আক্রমণ করে। যে ঘটনার সাথে আমরা কোনোভাবেই জড়িত নই। আমরা ধারণা করছি সেখানে ছাত্রলীগ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হওয়াতে বহিরাগতরা সুযোগ নিয়ে এমনটা করেছে।