বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে তার পরিবারকে কেনো দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহীন আলমের আনা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ, কে, এম, আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। আদেশে এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব মোরশেদ। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষও সোচ্চার হন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ পরদিন চকবাজার থানায় মামলা করেন। সে মামলার বিচার শেষে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।
আবরার হত্যাকে কেন্দ্র করে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।